রাজধানীর বাতাসের মান শনিবার সকালে ‘মধ্যম’ পর্যায়ে ছিল। এর জন্য নগরবাসী গতকাল (শুক্রবার) রাতের বৃষ্টিকে ধন্যবাদ জানাতেই পারেন।
এদিন সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৯৮ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল ১২তম।
চিলির সান্তিয়াগো, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ ও পাকিস্তানের করাচি যথাক্রমে ১৭১, ১৬৫ ও ১৫৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান আবারও ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর'
০ থেকে ৫০ এর মধ্যে একিউআই ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়, তবে ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে স্কোর থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অন্যদিকে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানতে শুরু করায় ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’